vision
Our vision

সোসাল এন্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এস.সি.ডি.এফ) উন্নয়ন পরিষদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

সোসাল এন্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এস.সি.ডি.এফ) একটি অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী মানব কল্যাণমুখী সংস্থা। সোসাল এন্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এস.সি.ডি.এফ) এর পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয় দিনাজপুর থানাধীন দিনাজপুর কার্য্যালয় থেকে ১৯৯৬ইং সালে। সংস্থাটি দিনাজপুর জেলা সমাজসেবা কার্য্যালয় থেকে রেজিষ্ট্রেশন হয় ১৯৯৮ইং সালে, যার রেজিঃ নং- ডি এস এস, দিনাজ-১২২৭/৯৮। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো যার রেজিঃ নং-২৯৪৪, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটিযার রেজিঃ নং-০৬০১৩-০২৭৭৯-০০৬৬৯ , মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যার রেজিঃ নং- জেমবিককা/দিনাজ/৩৩২/১৩, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যার রেজিঃ নং- যুউজ/দিনাজ-১৫/সদর-১০/১৭, সংস্থাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দারিদ্র জনগোষ্ঠির কল্যাণে সেবামূলক কাজ করে আসছে। অত্র প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৬ইং সাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি পর্যন্ত সুনামের সহিত মানবসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। অত্র প্রতিষ্ঠানটি দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের কল্যাণে সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। সোনার বাংলাদেশ গড়তে গ্রামগঞ্জের অসহায় ও দুঃস্থ মহিলাদের সেলাই, ব্লক, বাটিক সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া। প্রতিষ্ঠানটি উত্তরখান, দক্ষিণখান ও উত্তরা এলাকার দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের কল্যাণে প্রায় ছাব্বিশ বছর যাবত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
সংস্থার কার্যক্রম শুরুঃ
স্বাস্থ্যসেবা, পশু-পাখি, হাঁস-মুরগী পালন, চিকিৎসা কেন্দ্র, সেলাই শিক্ষা, কুটির শিল্প, কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কর্মসূচী, প্রতিবন্ধীউন্নয়ন কর্মসূচী ইত্যাদি।
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সমন্বয় গঠিত অত্র ফাউন্ডেশনটি শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত এটি একটি কল্যাণমুখী, অরাজনৈতিক, অলাভজনক সেচ্ছাসেবী, দাতব্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। নিম্নে বর্ণিত সকল উদ্দেশ্যাবলী বাড়লাভনের পূর্বে সরকার/সংশি-ষ্ট কর্তৃপক্ষ/উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণের পর এর কার্যক্রম শুর হবে এবং দি সোসাইটি এ্যাক্ট ১৮৬০-এর ২০ ধারার বিধানের পরিপন্থী উদ্দেশ্য/উদ্দেশ্যাবলী অকার্যকর বলে গণ্য হবে।
  • ১. শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করে গুণগত শিক্ষা, সাহিত্য, কলা ও বিজ্ঞান শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করা।
  • ২. দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য যত্ন, রোগ প্রতিষেধক টিকা, পুষ্টি সম্পর্কে শিক্ষাদান, সরকারের পরিবার পরিকল্পনা বাড়বায়নসহ তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান সাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন করা।
  • ৩. স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় (School, College & University) প্রতিষ্ঠা করে সাহিত্য, কলা ও বিজ্ঞান শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তবমূখী বিভিন্ন কারিগরী শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা।
  • ৪. শিক্ষা, চিকিৎসা, সেবামূলক প্রশিক্ষণ, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, দরিদ্র নারী সমাজ ও শিশুদের সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা।
  • ৫. জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য বিশেষেত অভাবগ্রস্থ দরিদ্র, সকল প্রকার প্রতিবন্ধী, অবহেলীত, সুবিধা বঞ্চিত অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের জন্য দাতব্য কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।
  • ৬. এ সংস্থা সমাজের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উৎসাহিত করা এবং বেকার সমস্যা নিরসনে পশু পালন, হাঁস-মুরগি পালন, কুটিরশিল্প, সেলাই, বুনন, হস্তশিল্পের বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ও প্রশিক্ষন প্রদান।
  • ৭. আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষিত ও অল্পশিক্ষিত নারী-পুরষদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপার্জনক্ষম কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা এবং শিশুদের কম্পিউটার বিষয়ে উৎসাহী করে তোলা ও প্রশিক্ষণ দান।
  • ৮. সমাজের অবহেলিত বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত ও গরীব মহিলাদের সংঘঠিত করে পুনর্বাসন করা এবং এ লক্ষ্যে দেশি-বিদেশী বাজারের চাহিদা সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক শিল্পজাত দ্রব্যাদি তৈরীর প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
  • ৯. গরীব অসহায় বেকার যুবক-যুবতীদেরকে বাস্তবমুখী কারিগরী শিক্ষা, মার্চেন্ডাইজিং প্রশিক্ষণ ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা ও অবহেলীত পথশিশু ও গরীব শিশুদের শিক্ষা দানের ব্যাপারে কার্যকরী প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।
  • ১০. অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত মানব গোষ্ঠিকে উন্নত পদ্ধতিতে সেবামূলক প্রশিক্ষণ, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ করণ ও কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • ১১. সমাজের মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দাতব্য চিকিৎসালয়, হাসপাতাল, ব্লাড ব্যাংক স্থাপন ও পরিচালনার মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যয় বহনে অপারগ ব্যক্তিদের সহযোগীতা প্রদান, স্বাস্থ্যসচেতনতা মূলক বিভিন্ন র‍্যালী, সেমিনার কর্মশালা ও কনফারেন্স আয়োজন করা।
  • ১২. কৃষিকে উন্নয়ন ও উন্নত কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন ও বিভিন্ন সভা, সেমিনার কর্মশালা পরিচালনা করা।
  • ১৩. প্রসূতি মায়ের সু-চিকিৎসার জন্য মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র স্থাপন করা এবং শিশু মৃত্যু রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • ১৪. সংস্থার উদ্দেশ্য সাধনে সহায়ক বিবেচনায় এমনসব সরকারী বা অন্য কোন স্থানীয় মিউনিসিপ্যাল, সরকারী/আধাসরকারী কোন সংস্থার সাথে যে কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া যাবে।
  • ১৫. চারুকলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে চিত্রাংকন ও চিত্তবিনোদন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা।
  • ১৬. ইসলামিক শিক্ষার মান উৎকর্ষতা সাধনের জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (মসজিদ/মাদ্রাসা)/এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে গরীব আলেম-ওলামাদের মধ্যে বিনামূল্যে বই সরবরাহ করা এবং আশ্রয়হীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।
  • ১৭. দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাদের শিক্ষা চালিয়ে যাবার জন্য সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এবং বিজ্ঞানের প্রযুক্তির মাধ্যমে যে কোন মানবিক বিষয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা চালিয়ে যাবার জন্য ষ্টাইপেন্ড এবং স্কলারশীপ প্রবর্তন করা।
  • ১৮. নারী উদ্ব্যোক্তাদের সহোযোগিতার লক্ষে তাদেরকে সংগঠিত করে প্রয়োজনীয় বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জেলা ভিত্তিক সাহায্য কেন্দ্র স্থাপন করা এবং সেই লক্ষে অত্র পরিষদ উদ্যোক্তা উন্নয়ন তহবিল নামে একটি তহবিল গঠন করবে।
  • ১৯. প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বনায়ন ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর ব্যবস্থা করা সহ স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষন সুস্থ্য স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি পান নিশ্চিত করনে ভূমিকা পালন করবে এবং, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করা।
  • ২০. এই সংস্থা বেসরকারী আত্মনির্ভরশীল সমাজ উন্নয়ন ও গবেষণামূলক সেবাধর্মী অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান জনকল্যানমূলক কাজ করাই এর লক্ষ্যে।

সোসাল এন্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এস.সি.ডি.এফ) এর সমাজ উন্নয়ন পরিষদ এর আয় বর্ধনশীল কর্মকান্ড:

মূল লক্ষ্যঃ

বাস্তবতার নিরীক্ষে সোসাল এন্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এস.সি.ডি.এফ) মহিলাদরে সার্বিক কল্যানে বিশ্বাসী একটি অন্যতম সংগঠন। প্রথম দিকে মূলত মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবাই ছিল এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য এছাড়াও জীবনযাত্রা মান উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান, পরিবেশনার উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন সভা ও সেমিনার সমাজের শিক্ষিত বিপদগামী যুবক সহ সকলকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে পূনবাসন প্রক্রিয়ায় সাহায্য প্রদান। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শুধু স্বাস্থ্য সেবা এবং অন্যান্য সকল বিষয়ে পরামর্শ দান সাপেক্ষে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন সম্ভব নয় সব দুঃস্থ অসহায় মহিলাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সংগে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করে শক্তিশালী করতে পারলে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন সম্ভব ভেবেই “(এস.সি.ডি.এফ)” অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়। এই প্রকল্পগুলি বাস্তবে রূপ নেওয়া দেওয়া অতি দুরহ হওয়া সত্বেও “(এস.সি.ডি.এফ)” নামের এই ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানটি নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে ছোট ছোট আকারে গড়ে তুলেছে মৎস্য চাষ প্রকল্প, সেলাই শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বনায়ন, বৃক্ষরোপন ও নার্সারী প্রকল্প ক্ষুদ্র কুটির শিল্প প্রকল্প এবং হাঁস মুরগী পালন প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের জন্য তৈরী করে তাদেরকে সামান্য পরিমান ঋণ প্রদান করা এবং মহিলাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে সামাজিক অবস্থান সুদৃঢ় করাই হল এর মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। এই সব কার্যক্রম গ্রহনের ফলে দেখা গেলো প্রকল্প এলাকার গ্রুপ সদস্যরা সমাজে নিজেদের অকাল মৃত্যু স্বামী নির্যাতন পারিবারিক আর্থিক স্বচ্ছলতা, যৌতুকপ্রথাসহ নানা অপকর্ম থেকে মহিলাদের পরিত্রান পাচ্ছে। সুতরাং “(এস.সি.ডি.এফ)” যে, মূল দক্ষ দরিদ্র অসহায় এবং সমাজের অবহেলিত মহিলাদের উন্নত জীবন গঠন করা তার অনেকটা সফলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শুধু মহিলারাই নয় এলাকার বেকার ও শিক্ষিত ও এই সব প্রকল্পের সাথে যুক্ত রয়েছে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আয় বর্ধেক প্রকল্পের মধ্যে আরও আছে, মার্কেটিং প্রকল্প, বিজ্ঞাপন এজেন্সি(দৈনিক আজকের আলোকিত সকাল) ইত্যাদি।

পুরুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রমে নারীদের অন্তর্ভূক্ত করার য্যেক্তিকতাঃ

সমাজ উন্নয়নের ধারায় অতীতে নারীর অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন যেমন গুরুত্বপূর্ন অবদান প্রদান রেখেছে তেমনি বর্তমানে তাদের ভূমিকা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষির আবিস্কার ও বিকাশ ঘটেছে নারীর হাতে এটা সর্বজন স্বীকৃত। সমাজের সকল বাধা অতিক্রম করে পুরষদের পাশাপাশি নারীরাও সমভাবে অর্থতৈকি কর্মকান্ডে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করে চলেছে। বর্তমানে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীদের কাজের ধরন ও ব্যাপ্তি কত বিশাল এবং ব্যাপক তা একটু খানি খতিয়ে দেখলেই অনুধাবন করা সম্ভব হবে। অফিস আদালত থেকে শুরু করে কল-কারখানা, চা-বাগান ও ক্ষেতে খামারে সর্বত্রই নারীদের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। তা সত্বেও নারী শ্রম শক্তিকে সাময়িকভাবে তেমনভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সামাজিক ভাবেও নারীরা আজো অবহেলিত। শুধু তাই নয় পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা এখনও করুনার পাত্র। অথচ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, পৃথিবীর সম্পূর্ন মানবিক শ্রমে নারী পুরুষের অনুপাত ২:১ অথাৎ মোট শ্রমের ১ ভাগ পুরুষ এবং ২ ভাগ নারী দ্বারা সম্পাদিত। এই নারী শ্রমকে উপেক্ষা করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে তোলা প্রায়ই অসম্ভব। এ বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষাপটে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা লক্ষ্যে নারীদের সামাজিক অবস্থার আমুল পরিবর্তনের জন্য সরকারী ও বেসরকারীভাবে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন। “(এস.সি.ডি.এফ)” তার আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সমাজের দুঃস্থ অসহায় মহিলাদেরকে বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে সাবলম্বী করে গড়ে তোলা খুবই অপরিহার্য বলে মনে করে।

আয় বর্ধনশীল কার্যক্রমের য্যেক্তিকতাঃ

তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল সবকয়টি বৈশিষ্ট্য আমাদের দেশেও বিদ্যমান। জনসংখ্যার দ্রুত বিষ্ফোরনের ফলে শিক্ষিত অশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর অবস্থায় রূপ নিয়েছে। ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের অভিশাপে অভিসপ্ত এই বাংলাদেশ।

“(এস.সি.ডি.এফ)” মানব সেবায় দ্রুত সেবায় ব্রত হয়ে উল্লেখিত সমাজকল্যাণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সমূহের বাস্তবায়ন করে আসছে। তাই কঠিন বাস্তবতা এবং অতি প্রয়োজনের তাগিদেই এই প্রকল্পগুলি গ্রহণ করা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন আজ এতই ব্যয়সাধ্য যে একা পুরুষদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না, তাই প্রয়োজন নিশ্চিত করে মহিলাদেরও বিভিন্ন আয় বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা যার মাধ্যমে পরিবারের আয় বৃদ্ধি সহ, পারিবারিক শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আসবে অপর দিকে শিশু শ্রম হ্রাস পাবে এবং শিক্ষার আলো বৃদ্ধি পাবে।

কার্যাবলী কার্যাবলীর বিশ্লেষণঃ

তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির মডেল হিসেবে বিবেচিত, সাড়ে বারো কোটি জনসংখ্যা অধ্যষিত ক্ষুদ্র এই দেশ। আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে জন্মহার ২.০৫। যাহা একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্যই খুবই বেশী। দরিদ্রপীড়িত ঋণভারে জর্জরিত এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনার মাধ্যম “(এস.সি.ডি.এফ)” নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণকরে। “বিত্তহীন জনকল্যানে কাজ এর একমাত্র উদ্দেশ্য দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন যার ফলে “(এস.সি.ডি.এফ)” এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে একবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে।। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ব্যতীত জাতীয় উন্নয়ন আশার করা যায় না।

সোসাল এন্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এস.সি.ডি.এফ)

সমাজের উন্নয়নে SCDF-এর উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম:

১. শিক্ষা খাতে উন্নয়ন:

  • সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা।
  • স্কুল, কলেজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও সংস্কার।
  • ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি।
  • নারী ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাক্ষরতা কর্মসূচি এবং অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা।
  • শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন।

২. স্বাস্থ্যসেবা:

  • বিনামূল্যে বা কম খরচে চিকিৎসাসেবা প্রদান।
  • স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচি (পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা ইত্যাদি)।
  • শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উদ্যোগ।
  • মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন এবং হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন।

৩. নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন:

  • নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান।
  • নারীদের আত্মরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন।
  • ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি।
  • নারী অধিকার বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা।

৪. দারিদ্র্য বিমোচন:

  • দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প সুদে বা সুদমুক্ত ঋণ প্রদান।
  • কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ (যেমন সেলাই, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ)।
  • দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য স্বনির্ভরমূলক প্রকল্প গ্রহণ।

৫. পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন:

  • বৃক্ষরোপণ এবং পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচি।
  • জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলার উদ্যোগ গ্রহণ।
  • পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য ব্যবহার প্রচার।

৬. যুব উন্নয়ন:

  • তরুণদের জন্য নেতৃত্ব বিকাশ কর্মসূচি।
  • তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা।
  • খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আয়োজন।

৭. সংকট মোকাবেলা ও পুনর্বাসন:

  • প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিতরণ এবং পুনর্বাসন।
  • জরুরি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ।
  • দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা।

৮. মানবাধিকার রক্ষা:

  • মানবাধিকার সচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মসূচি।
  • নির্যাতিত ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আইনি সহায়তা প্রদান।
  • সমাজে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সচেতনতা তৈরি।

৯. প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন:

  • ডিজিটাল শিক্ষা ও ই-কমার্স প্রশিক্ষণ।
  • তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালা।
  • শিশুদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা কার্যক্রম।

১০. সমাজ সচেতনতা ও সংস্কৃতি:

  • মাদকবিরোধী প্রচারণা এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ।
  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং স্থানীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন।
  • সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচারণা।

১১. বস্তি ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকার উন্নয়ন:

  • আশ্রয়হীনদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা।
  • স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।
  • দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকার শিশুদের জন্য শিক্ষা কর্মসূচি।

সোসাল এন্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এস.সি.ডি.এফ) সমাজের প্রত্যেক স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে নিরন্তর।